নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) কর্মরত এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) এর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিথ্যা মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন এসআই মোঃ আঃ জব্বার। এ ছাড়াও তিনি, মোটা অংকের উৎকোচ না পেলেই বিভিন্নভাবে নিরপরাধ ব্যাক্তিদের মামলা দিয়ে হয়রানী করেন। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগকারী হলেন- ভাঙ্গা উপজেলার পাতরাইল (শিমুলবাজার) এলাকার বাসীন্দা প্রয়াত ছত্তার খালাশীর ছেলে করম আলী খালাশী।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ- স্থানীয় স্বার্থান্বেষী মহল ও সাবেক সংসদ সদস্য’র (এমপি) প্রভাব খাটিয়ে একাধিক সাজানো মাদক মামলার আসামী করা হয়েছে তাকে। সাবেক এমপি’র ক্যাডারদের আর্থিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় রোষাণলের শিকার হয়েছেন তিনি। একইসাথে তিনি, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ফরিদপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আঃ জব্বার, সাবেক এমপি’র ক্যাডার ও স্থানীয় স্বার্থান্বেষী মহলের যোগসাজশে করম আলী খালাশীকে একাধিক মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে- গত ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ইং সন্ধ্যায় এসআই জব্বার ও তার সাথে থাকা পুলিশ সদস্যরা করম খালাশীর বাড়ীতে তল্লাশী চালান ও করম আলীকে আটক করেন। এসময় আটকের কারণ জানতে চাইলে এসআই জব্বার কোনো সদুত্তর না দিয়ে করম আলীর কাছে দুই লক্ষ টাকা চান। চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় করম আলীকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায় এসআই জব্বার।
ভুক্তভোগী করম আলী খালাশী জানান, তিনি কোন মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত নয়। তারপরেও তিনি একাধিক সাজানো মাদক মামলার আসামী হয়েছেন। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত এসআই জব্বার সহ সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আঃ জলিল বলেন- যেহেতু, মন্ত্রালয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাই, সেখান থেকে পদক্ষেপ নিতে বলা হলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। আমরা ইনকোয়ারী (তদন্ত) করবো এরপর অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।