ক্রাইম সার্চ কণ্ঠ ডেস্ক:-
এ পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিয়েছে নানী। মৃত্যুর খবর পেয়ে- শেষবারের মতো নানীর মুখ দেখতে মামা বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন শাহিন। তিনি, মৃত নানীকে শেষবার দেখার পরিবর্তে, মারপিটের শিকার হয়েছেন। এ সময় ছেলেকে বাঁচাতে, মারপিট ঠেকাতে এগিয়ে যায় শাহিনের মা শাহিদা বেগম। তাকেও মারপিট করেন অভিযুক্তরা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায়, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শাহিনের স্ত্রী খাদিজা আক্তার।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের গোয়ালবেড়া এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত দানেশ শিকদারের ছেলে আবু শিকদার(৫৮)। আবু শিকদারের ছেলে মিলন শিকদার (২০) ও স্ত্রী ফিরোজা বেগম(৪৫) সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহিনের মামা ওলিয়াদ মল্লিক। ইতোপূর্বে, শাহিনের মামাতো বোন বৃষ্টি আক্তারকে পালিয়ে বিয়ে করেন অভিযুক্ত মিলন। এভাবে, মেয়ের বিয়ের বিষয়ে রাজি ছিলেন না ওলিয়াদ মল্লিক। এ কারণে, শাহিন ও শাহিনের মামাদের প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলেন অভিযুক্তরা। সোমবার (৩, ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার সময়ে নানীর মৃত্যুর সংবাদ পায় শাহিন খান। পরে, স্ত্রী খাদিজা আক্তারকে সাথে নিয়ে গোয়ালবেড়া মামা ওলিয়াদ মল্লিকের বাড়ীতে পৌঁছায়। এ সময় অভিযুক্তরা- পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অতর্কিত আক্রমন চালিয়ে এলোপাথাড়ী মারপিট শুরু করেন।
খাদিজা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, মারপিট ঠেকাতে শাশুড়ি শাহিদা বেগম এগিয়ে গেলে, তাকেও মারপিট করেছেন অভিযুক্তরা।
শাহিনের স্ত্রী বলেন, মৃত নানীকে শেষবারের জন্যেও দেখতে পেল না আমার স্বামী। শুনেছি, সকালে জানাজার নামাজ শেষে আমার নানী শাশুড়িকে দাফন করা হবে। বর্তমানে, স্বামী ও শাশুড়িকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। ব্যথায় কাতরাচ্ছেন তারা দুইজন।
আবেগাপ্লুত হয়ে ক্রাইম সার্চ কণ্ঠ’র প্রতিবেদককে খাদিজা বলেন, স্যার, পরিবারে আমার দুটি সন্তান। সাত বছর বয়সী তাবাসসুম ও চার বছর বয়সী তাইফ। আমার স্বামীর কিছু হয়ে গেলে, ওদের কি হবে? আমি ন্যায় বিচার পাবো তো?
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ইন্দ্রজিৎ মল্লিক জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি হৃদয়বিদারক। তদন্ত সাপেক্ষে, দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।