ক্রাইম সার্চ কণ্ঠ ডেস্কঃ
বীরদর্পে দেশের সম্পদ বিনষ্ট কারী, ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে সরকারী সম্পদ বিক্রয়কারী, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট কারী, ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে আড়িয়াল খাঁ নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারীর নাম সোহেল মাতুব্বর ওরফে সোহেল ভান্ডারী! অভিযোগ রয়েছে- তিনি, স্বৈরাচারীরের দোসর খ্যাত সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরীর ঘনিষ্ট সহকর্মী ছিলেন। তবে, বর্তমানে তিনি বিএনপি’র ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মী পরিচয় দিচ্ছেন! একইসাথে, সদরপুরের উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বিঘ্নে। অভিযুক্ত সোহেল ভান্ডারীর খুটির জোর কোথায়? জানতে চান এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত সোহেল ভান্ডারী হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের বাসীন্দা। তিনি, ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সনের ঘনিষ্ট সহকর্মী ছিলেন। তিনি, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, ভোল পাল্টে বিএনপি’র কর্মী পরিচয়ের চেষ্টা করছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগসুত্রে অপরাধের তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়- সোহেল মাতুব্বর ওরফে সোহেল ভান্ডারী একজন ধূর্ত প্রকৃতির ব্যক্তি। তিনি, ভাঙ্গা উপজেলার বাসীন্দা হলেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন- সদরপুরের চরচান্দ্রা এলাকায়। ঐতিহ্যবাহী আড়িয়াল খাঁ নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন সোহেল ভান্ডারী। সদরপুরের উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কয়েকমাস যাবত অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বিঘ্নে। বীরদর্পে দিন-রাত দেশের সম্পদ নষ্ট করছেন অবৈধভাবে। ইতোমধ্যে, অপকৌশল প্রয়োগ করায় লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেছেন অবৈধভাবে।
ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের বিপরীতে- নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও সোহেল ভান্ডারীর কারণে ঐতিহ্যবাহী আড়িয়াল খাঁ নদী হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থ। প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে, যেকোনো সময় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে অত্র এলাকা। ধূর্ত প্রকৃতির সোহেল ভান্ডারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত সোহেল মাতুব্বর ওরফে সোহেল ভান্ডারী জানান, প্রশাসনের কোন লিখিত অনুমতি নেই।