নিজস্ব প্রতিবেদক, সিএসকন্ঠঃ-
একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নেই কোন চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান অথবা প্যাথোলজিষ্ট। তবুও চলছে চিকিৎসা-সেবা কার্যক্রম। মানুষের ৫টি মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চিকিৎসা-সেবা। সম্প্রতি, চিকিৎসা-সেবা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। কিছু অসাধু ও স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিদের কারণে এ মৌলিক অধিকারের বিষয় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সরকারের পক্ষ থেকে অধিকতর গুরুত্বারোপ না করা হলে- এ মৌলিক অধিকার থেকে সর্বসাধারণ বঞ্চিত হতে পারে বলেও মন্তব্য করা হচ্ছে! এ বিষয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় অনুসন্ধানে গেলে বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য! অনুসন্ধানী প্রতিবেদন- ১
ব্যাপক অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়েই চলছে- কালামৃধা ইসলামিয়া ডায়াগনষ্টিক সেন্টার! এ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারটি উপজেলার কালামৃধা বাজারে অবস্থিত। ২০২৩ সাল থেকে চিকিৎসা-সেবা কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলছে কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে অনুমোদনের পর থেকে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র আর নবায়ন করেনি এ প্রতিষ্ঠানটি। সংবাদকর্মীরা, কারণ জানতে চাইলে- প্রতিষ্ঠানের জিএম (জেনারেল ম্যানেজার) আহামেদ সিয়াম বলেন- “আমাদের এমডি জামাল হোসাইন বলেছেন, সময় সুযোগ হোক পরে কাগজপত্র নবায়ন করবো।” এ সময় তিনি বলেন- গত একমাসের অধিক সময় ধরে আমরা কোন কাজ করিনা। রোগী এলে আমরা রেফার্ড করে দেই।
চাঞ্চল্যকর বিষয় হচ্ছে- কালামৃধা ইসলামিয়া ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নেই কোন ল্যাব টেকনিশিয়ান, চিকিৎসক ও প্যাথোলজিষ্ট।
অপরদিকে, উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নে দেখতে পাওয়া যায়- জননী ডায়াগনষ্টিক সেন্টার নামে একটি ২৪ ঘন্টা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান! এ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের নেই কোন অনুমোদন। আবেদনের কোনো প্রমানক দেখাতে পারেন নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শুধুমাত্র ল্যাব টেকনিশিয়ানের স্বাক্ষর দিয়েই প্রদান করা হচ্ছে- ল্যাব রিপোর্ট। সনদপ্রাপ্ত প্যাথোলজিষ্ট কেন নেই? এমন প্রশ্নের জবাবে সংশ্লিষ্টরা সংবাদকর্মীদেরকে বলেন- দেখুন, এগুলো ঢাকায় থাকে। এগুলো এখানে দরকার হয় না। প্রতিষ্ঠানটির মালিক পরিচয় দানকারি মোঃ মামুন বলেন- এই প্রতিষ্ঠান রেনেসা প্রজেক্ট দ্বারা পরিচালিত। এখানকার ডাক্তাররাও রেনেসার! আমাদের সকল কাগজপত্র আছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- মূলত, তার ছোট ভাই এই প্রতিষ্ঠানের মালিক। দেখভাল (পরিচালনা) করেন তার বড় ভাই মোঃ রুমি মিনা।
প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর দেখা মেলে- ডাঃ কে এম শফিক রেহমান নামক একজন চিকিৎসকের। তিনি- এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন), মেডিসিন স্পেশিয়ালিস্ট, মেডিসিন কনসালটেন্ট রেনেসা প্রজেক্ট। তার সাথে সংবাদকর্মীরা কথা বলতে চাইলে- তিনি লাঞ্চ টাইম (দুপুর বেলার খাবারের সময়) হয়েছে বলে কৌশলে ওই স্থান থেকে শটকে পড়েন।
চিকিৎসা ব্যবস্থার অনিয়ম, দূর্ণীতি ও অসঙ্গতি নিয়ে- আমাদের ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তুলে ধরা হবে। আপনার কাছে সঠিক তথ্য থাকলে, আমাদের জানাতে পারেন। আপনার দেয়া তথ্য অনুসন্ধানের পর প্রকাশ করতে চাইলে, যোগাযোগ করুন- ০১৭১২-৬৮৫০১০ এই নম্বরে।