নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অতর্কিত হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের পুটিয়া এলাকায় এ হামলা হয়। এ ঘটনায় বাবা ও ছেলে গুরুতর আহত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেলে ও মা মনোয়ারা বেগম ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে শনিবার ভাঙ্গা থানায় মোসাঃ মনোয়ারা বেগম একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের পুটিয়া এলাকার প্রয়াত আজিজ শেখের ছেলে ছানু শেখ (৫০), আনু শেখের ছেলে ওহিদুল শেখ (৩৫) ও সাগর শেখ (২২), প্রয়াত আজিজ শেখের ছেলে ইউনুস শেখ (৫৫), ছানু শেখের স্ত্রী আরজু বেগম (৪৫), হেলাল মাতুব্বরের স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৪০), প্রয়াত মোতালেব শেখের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪৮), উপজেলার চর দুয়াইর এলাকার আলা মোল্লার ছেলে মিয়াজান মোল্লা (৪০)।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়- পুটিয়া এলাকার অভিযুক্ত বাসিন্দাদের সাথে পাশাপাশি বাড়ীতে বসবাস করেন- মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। তাদের বাড়ীর পালানের জমি নিয়ে বিরোধ ও শত্রুতা চলছিল। এ কারণে, অভিযুক্তরা মাঝে মধ্যেই তাদেরকে নানাভাবে হয়রানী করা, বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়া ও মারধরের সুযোগ খুঁজছিল। গত বৃহস্পতিবার (২৪/০৪/২০২৫) রাত প্রায় ৯ টার সময়ে কাউলিবেড়া বাজারের মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান বন্ধ করে বাড়ীর উঠানে পৌঁছায় মনোয়ারার বড় ছেলে সাদ্দাম হোসেন। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে লাঠিসোঠা, লোহার রড, ধারালো ছ্যানদা, রামদা প্রভৃতি সহ অভিযুক্ত ছানু শেখের হুকুমে অন্যান্য অভিযুক্তরা মনোয়ারাদের বাড়ীতে প্রবেশ করে সাদ্দামকে এলোপাথাড়ী মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে অভিযুক্ত সাগর শেখ ধারালো রামদা দিয়ে কোপ দেয় সাদ্দামকে। সাদ্দাম তার ডান হাত দিয়ে কোপ ফেরানোর চেষ্টা করলে তার একটি আঙ্গুলের মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যায়। এ সময় সাদ্দামের কাছে থাকা একটি টাকার ব্যাগ ওহিদুল শেখ ছিনিয়ে নেন। এরপর, সাদ্দামের ডাক-চিৎকার শুনে তার বাবা মজিবুর রহমান ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় তিনি মারপিট ফেরানোর চেষ্টা করলে তাকেও ধারালো রামদা দিয়ে কোপ দেন অভিযুক্তরা। একইসাথে, মনোয়ারা বেগম উপস্থিত হলে তাকেও এলোপাথাড়ী মারপিট করা হয়। তাদের ডাক-চিৎকার শুনে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। পরবর্তীতে, জীবননাশের প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় অভিযুক্তরা।
এ ঘটনার কিছু সময় পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে, কর্তব্যরত চিকিৎসক মজিবুর ও তার ছেলে সাদ্দামকে ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে আরজু বেগম ও জাহানারা বেগম পাল্টা অভিযোগ করে বলেন- তারা (অভিযোগকারী) আমাদেরকে মারধর করেছে। ঘটনার বিষয়ে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের কোনো সদুত্তোর না দিয়ে এড়িয়ে যান তারা।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আশরাফ হোসেন জানান- লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে দোসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।